ঐতিহাসিক ২১ শে জুলাই এর মঞ্চ থেকে লালগড়ে ৯ই আগস্ট ভারত ছাড় আন্দোলনের বৈল্পবিক দিবসটিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গনতন্ত্র প্রতিস্টার ডাকে যে সিপিএম ভয় পেয়েছিল তার সার্থক প্রমান পাওয়া গেল লালগড়ের ঐতিহাসিক সমাবেশে।
খুব সাবাভিক ভাবেই লালগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এই দৃড় পদক্ষেপে সিপিএম ভয় পেয়েছে, তাই তার পরের দিন থেকেই বিখ্যাত পিয়ং-ইয়ং প্রোপাগান্ডা আরো দৃঢ় হয়েছে, বজরঙ্গবলী কমরেডরা সংসদের উভয় কক্ষে লাফালাফি শুরু করেছেন তাদের নয়া গোপন জোটসঙ্গী বিজেপির সাথে। কিন্তু এই প্রচেস্টা পশ্চিমবঙ্গের সাধারন গনতন্ত্রপ্রিয় শান্তিকামী মানুষের সামনে ঘৃন্য সিপিমের সন্ত্রাসের মুখোশটা খুলে দিতে আরো সাহায্য করবে। কিন্তু আমরা জানি আসলে সিপিএম ভয় পেয়েছে, কিন্তু কেন ?
জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের উত্থানের মূল কারন যে দারিদ্র, বঞ্চনা, সামাজিক শোষন সেটা নিয়ে ত সবাই একমত তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে গত ৩৪ বছর গরীব দরদী বাম সরকার কি করছিল, আমালাশোল, খয়রাশোল এ মানুষের অনাহারে মৃত্যু আমাদের দেখতে হয়েছে, এখন এই সব মানুষদের মাওবাদীদের ভুয়ো প্ররোচনায় পা দিয়ে বন্দুক তুলতে বাধ্য করিয়েছে গরীব দরদী বাম সরকার এবং প্রধান শাষক দল সিপিএম। এবং সমস্যার মোকাবিলা উন্নয়নের মাধ্যমে করা তো দূরের কথা প্রতিবাদের উত্তরের পরিবর্তে মানুষ পেয়েছে সিপিএমের ক্যাডার আর পুলিশের অত্যাচার। পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে চলে যায় তখন কেন্দ্রের চাপে যৌথবাহিনী পাঠতে বাধ্য হতে হয় কিন্তু যৌথবাহিনী সাময়ক ভাবে এলাকা দখল করতে পারলেও রাজ্যের সচিবদের নিয়ে গঠিত কমিটি বা সরকার উন্নয়নের কাজ গত দেড় বছরে কিছুই করেনি।
উলটে দলের ভুল নীতির খেসারত দিয়ে মাওবাদী প্রতিহিংসার আগুনে ১৫০ জনেরো বেশী গরিব সিপিএম কর্মী এবং সমর্থক প্রান হারিয়েছেন। তার বদলা নিতে সালোয়া-জুডুমের ঘোরতর বিরোধী সিপিএম তাদের ভাড়া করা গুন্ডা এবং সশস্ত্র ক্যাডারদের মাধ্যমে যৌথবাহিনীর ছায়ায় এলাকা দখলের রাজনীতিতে নামে। ফলসরুপ সাধারন গরীব মানুষরা যেমন এদের হারে ধর্ষিত ,অত্যাচারিত হচ্ছেন, তাদের সম্পত্তি লুটপাট হচ্ছে অপরদিকে মাওবাদী প্রতিহিংসার কবলে পড়ে নিরিহ সিপিএম কর্মীরা মারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে শিশু থেকে বুড়ো সবাই আছেন। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা সিপিএমের সন্ত্রাস আজকে জঙ্গলমহলের সাধারন মানুষদের কাছে রাস্ট্রীয় সন্ত্রাস রুপে দেখানো হচ্ছে আর মানুষ আস্তে আস্তে গনতন্ত্রে আস্থা হারাচ্ছেন।
কিন্তু এতে আখেড়ে লাভ হচ্ছে কাদের? বিচ্ছিন্নতাবাদী মাওবাদীরা আজ মেকী গরীবদরদী সেজে সাধারন মানুষের ক্ষোভ গুলোকে নিজেদের অনুকুলে কাজে লাগাচ্ছে। জঙ্গলমহলে সাধারন মানুষের মনে গনতন্ত্রের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে সিপিএম আজ সম্পুর্ন রুপে ব্যার্থ। কটা ফুটবল ম্যাচ খেলে বা ডাক্তারি ক্যাম্প করে যদি এই সমস্যার সমাধান হত তাহলে হয়েই যেত কিন্তু হবে না কারন জঙ্গলমহলে চাই দীর্ঘকালীন উন্নয়ন, তবেই মাওবাদী সমস্যা কে মোকাবিলা করা যাবে, মাওবাদীদের জনবিচ্ছিন্ন করা যাবে যা গত ৩৪ বছরে সিপিএম করত্যে ব্যার্থ।
৯ই আগস্ট লালগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় মাওবাদী হিংসার নিন্দা করেছেন যেটা বুদ্ধবাবু পারেন নি। মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। মানুষের মনে হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা গেছে, শান্তি প্রতিস্টার উদ্দেশে একটি সুস্ট কাজ শুরু করার একটা প্রয়াস দেখা গেছে। আর সিপিএমের ভয়টা আসলে এখানেই, ভয়টা হল জঙ্গলমহল এতদিন পর্যন্ত সিপিএমের শক্ত ঘটি ছিল। ক্যাডার বাহিনীর এই সন্ত্রাস আগামী বিধানভা নির্বাচন অবধি চালিয়ে যেতে পারলেই আগামী ২০১১ তে জঙ্গলমহলের বিধানসভা সিট গুলোতে সিপিএমের আধিপত্য কায়েম থাকত কিন্তু সেটাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বাংলার পরিবর্তনকামী মানুষের জোয়ান অফ আর্ক, মমতা বন্দোপাধ্যায়।
বাংলার মানুষের সাথে সাথে জঙ্গলমহলের মানুষো আজ সিপিমের আসল রুপ টা বুঝতে পেরেছে। গনতন্ত্র প্রতিস্টার উদ্দেশে, মাওবাদীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে গনতন্ত্রে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সর্বোপরি সিপিমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবেই।
CPM er dumukho nitir porda fnas hoyechhe.Ek dike e maoist nam diye adivasi hotya onno dike gorib CPM kormi der lash er upor dariye rajniti.Mamata banerjee r santi prostab CPm er action plan e jol dhele diyechhe.
ReplyDeleteTrinomuler koto vote barlo?
ReplyDelete