Wednesday, September 8, 2010

নতূন সুর্য্যদ্বয়ের উপাখ্যানঃ জঙ্গলমহল - সায়ন ঘোষ

না নতূন করে নন্দীগ্রামের সুর্য্যদ্বয়ের কথা বলতে চাই না। সেই হাড় হিম করা আতঙ্ক যা রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাষকের সাথে সাধারন মানুষকেও বিচলিত করে তুলেছিল আর রক্তস্নাত নন্দীগ্রামের মাটিতে সূর্য্যদ্বয় ঘটেছল সেই করূন সত্য না হয় থাক। কিন্তু নতূন সুর্য্যদ্বয়ের পালা চলছে তার কথা জানতে হবে আর সেটাই জানব কারন না জানলে তো হিষাব পাব না যে গত ৩৪ বছরের অন্ধকার আর মাৎসন্যায়ের সুযোগ নিয়ে লাল বাংলার সোনার মাটি নতূন করে আর কতজন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থক, নিরপরাধ মানুষের রক্তে লাল হয়েছে। তাই জানতে হবে আর মুখোশ গুলো ছিঁড়ে ফেলার কাজটা আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ছোটবেলায় লেখা একটা কবিতার লাইন মনে পড়ল
‘হিষাবের খাতায় আজ বেহিষেব
পজিটিভ প্রফিটের নেগেটিভ ফেস’
সখ করে নাম দিয়েছিলাম ‘প্রলাপ’। জানি না তখন কি ভেবে লিখেছিলুম কারন আজকে ভাবি যদি সত্যি এই রাজ্যের মানুষগুলো প্রলাপ বকত তাহলে এপি সিরিসে সিপিএমের সুর্য্যদ্বয় গুলো হয়ত দেখার চোখ থাকত না। সাদাকালো বাস্তবে রঙ্গীন রংচশমা পড়েমানুষগুলো বেশ থাকত কারন সবাই সত্যিটা জানত- সেটা হল
‘নেগেটিভের ছায়া
বদলে দিল কায়া
দেখতে গেলাম তাকে
গিয়ে দেখলাম মায়া’
যাইহোক, পাবলিক বোর হচ্ছেন হবে হয়ত। ভাবছেন তখন থেকে নান্দনিক আঁতলামো করে দার্শনিকতা ফলাচ্ছি ওদিকে গনতন্ত্র বাচাতে গিয়ে বিরোধী দলের ৩০০০ কর্মী সমর্থকরা শহীদ হয়ে যে আত্মবলিদান দিয়েছেন, প্রায় এককোটি মানুষ যে দীর্ঘ ৩৪ বছরে রাজনৈতিক ‘লাল’ সন্ত্রাসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেটা সম্পুর্নরূপে হয়ত ভুলে গেছি। আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি আপনাদেরকে, গনতন্ত্রের হত্যা কিভাবে হয় তার প্রমান লাগে? মনে হয় না। বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচারী সেনানায়করা এবং কমিউনিস্ট পার্টিগুলো তার প্রমান দিয়েছে, এমনকি সংসদীয় গনতন্ত্রের চৌহদ্দিতে থেকেও ক্ষমতাসীন দলগুলি এমন অনেক কাজ করেছেন যা হত্যারই সমর্থক। কিন্তু আদর্শবাদেরর ব্যাখ্যা পালটে ‘শুয়োরের খোঁয়ারকে’ কে মান্যতা দিয়ে গনতন্ত্রকে নৃশংসভাবে গলা টিপে কিভাবে কিভাবে হত্যা করতে হয় তার জলজ্যান্ত উদাহারন পেতে চাইলে সিপিএম পার্টিকে দেখুন বিশেষ করে ২০০৬ পরবর্তী ‘ওরা ৩০, আমরা আমরা ২৩৫’ সিপিএম পার্টিকে। আগেই বলেছি নন্দীগ্রামের সুর্য্যদ্বয়ের কথা বলব না, বরং বলতে চাই নন্দীগ্রামের থেকেও বড় এক ভয়ঙ্কত কঠিন সত্য। এই সত্যে সুর্য্যদ্বয়ের অংশটি ক্ষুদ্র বটে কিন্তু বাস্তব জীবনের ইতিহাসটি বড়ই করুন।

ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৮ সালের জানুয়ারী মাসে।প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের দেউলিয়া দালালীপনায় বিতসৃদ্ধ হয়ে সাধারন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বাংলার জননেত্রী, বাংলার জোয়ান অফ আর্ক মমতা ব্যানার্জী, তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে তোলেন তার অনুগামীদের নিয়ে। এবং প্রথম বারেই বাংলার বিভিন্ন লালদূর্গের সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরের (তখন অবিভক্ত মেদিনীপুর) লালদূর্গ কেশপুরেও তৌফিক (পরে পার্টি বিরোধী কাজের ফলে অপসৃত), পিংলার শঙ্কর ভুইয়ার সুযোগ্য নেতৃত্বে জুলাই-অগাস্ট মাসের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিস্ঠতায় টিএমসি কে ক্ষমতায় আনে। ঘৃন্য শাষকের হ্যামলীনের বাশির আওয়াজটাকে কার্যত থামিয়ে দেয় আর এখানেই গরীবদরদী মুখোশটা ছিড়ে বেরিয়ে আসে সিপিএমের ক্ষমতালোভী চরিত্রটা। একাধিপত্যে আঘাত ঘটায় মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের দুই সুযোগ্য শিষ্য তপন-শুকুর ( তপন ঘোষ এবং শুকুর আলি)আর সিপিএমের ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনী যারা ‘ভৈরববাহিনী’ নামেই বেশী খ্যাত প্রতিশোধ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাধারন মানুষের উপর, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, গ্রামের মা-বোনেদের সম্মানহানী করা হয় কেবল বিরোধী দলকে জেতানোর অপরাধে। ঘটনার ভয়বহতা বোঝানোর জন্য একটি উদাহারনই বা নামই যথেস্ট – ছোট আঙ্গারিয়া। কিন্তু আপনাদের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে এর ফলে এর সাথে নতূন সুর্য্যদ্বয়ের কি সম্পর্ক? আপাত দৃস্টিতে নেই বলে মনে হলেও আছে কারন এই ঘটনাই পরোক্ষভাবে পশ্চিম মেদেনীপুরের জঙ্গলমহল সহ এক বিস্তীর্ন এলাকার মাটিতে সি.পি.আই-পি.ডাব্লু.জি {পরবর্তী কালে এম.সি.সির সঙ্গে মিশে এরাই সি.পি.আই–মাওবাদী তৈরী করে।} কে ডেকে আনে। সেই শুরু যে অঞ্চলে মাওবাদীদের কোন অস্তিত্বই ছিল না, সেখানে ভৈরববাহিনীর তান্ডবের সুযোগে তারা যেমন মানুষের ক্ষোভের সুযোগ নিতে এগিয়ে আসে তেমন ওই অঞ্চলের হতভাগ্য মানুষগুলোর গনতন্ত্রের প্রতি যে নূন্যতম ক্ষীন বিশ্বাষটুকু ছিল সেটাও সম্পূর্ন বিলীন হয়। ফলে গোটা এলাকায় সিপিএমের সন্ত্রাসের ফলে তাদের একাধিপত্য বজায় থাকলেও বাংলার মাটিতে মাও বিচ্ছিন্নতাবাদের এক নতূন অধ্যায় শুরু হয় যার সম্পুর্ন বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাব ঠিক ১০ বছর বাদে।

নভেম্বর ২,২০০৮ এ ঠিক কি ঘটেছিল সেটা জানার আগে বোধহয় এটা জেনে নেওয়া ভাল কেন ঘটেছিল। যদি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বিচার করতে হয় তাহলে বন এবং খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য্যে ভরা ভারতের ছোটনাগপুর অঞ্চলের মানুষ ভূমিপুত্র আদিবাসীদের বঞ্চনার ইতিহাসটা নতূন করা না জানার থাকলেও বলতে বাধা নেই স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষেও এনারাই রয়ে গিয়েছেন সবচেয়ে বঞ্চিত, শোষিত; প্রকৃত উন্নয়ন অর্থে কিছুই হয়নি বরঞ্চ অন্যদের উন্নয়নের জন্য এদের ঠেলে দেওয়া হয়েছে খাদের কিনারে। প্রাসঙ্গিকতার পরিপ্রেক্ষিতে বলে রাখা ভাল যে আমি কেবল কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলের পরিথিতি নিয়েই লিখব। প্রাকৃতিক খেয়ালখুশীতে এমনিতেই জঙ্গলমহলে বছরে মাত্র একবার বর্ষাকালীন চাষ হয়। জঙ্গলমহলে ক্ষুদ্র চাষীর সংখ্যা নেহাতই কম ( বৃহৎ বা মাঝারী চাষী খুজে পাওয়া ভার, গানিতিক পরিভাষায় বললে টেন্ডস টু জিরো)। এখানকার অধিকাংশ মানুষই ভূমিহীন ক্ষেতমজুর যাদের অধিকাংশের প্রধান জীবিকা শষ্যশ্যামলা বঙ্গদেশে জনমজুর বা ইটভাটা বা পাথর খাদানে শ্রমিক হিসাবে খাটতে যাওয়া, আর মহিলারা অধিকাংশই জঙ্গলে কেন্দুপাতা তুলে জীবিকা নির্বাহ করে, জঙ্গলমহলে আধিকাংশ জমি খাস জমি অথবা জঙ্গল এবং অনুর্বর হওয়াতে যেমন ভূমিসংস্কারের কাজ একেবারেই হয়নি তেমনি বড় বড় জোতদাররা সিপিএমের নেতা,হাফ নেতায় পরিনত হওয়ায় তেদের জমিও নেওয়া হয়নি। উলটে দূর্নীতিগ্রস্ত পঞ্চায়েত গুলি স্বজন পোষনের মাধ্যমে ফুলে ফেপে উঠলেও তাতে আদিবাসীদের কাজের কাজ বা উপকার কিছু হয়নি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জলের মত নূন্যতম সংবিধান স্ব্রীকৃত সামাজিক ও মানবিক মৌলিক চাহিদাগুলি পূরন করার কোন চেস্টাই করা হয়নি। বিষেশত জঙ্গলমহলে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা দিনের পর দিন হয় কাজ না করার জন্যা ফেরৎ গেছে নয়ত সেই টাকায় হতদরিদ্র গ্রামগুলোর মাঝে  পার্টি অফিস, নেতাদের বাড়ির নামে একাধিক দালান কোঠা গড়ে উঠেছে। প্রতি উত্তরে অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটানো মানুষগুলোকে ছেলে ভুলানোর মত পিয়ং-ইয়ং স্টাইলে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার গল্প না হয় তত্ব সর্বস্য জার্মান/রাশিয়ান সর্বহারাদের বাণী শোনানো হয়েছে। জঙ্গলের ভূমিপুত্রদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে, সামান্য শুকনো কাঠ বা বনের ফলমূল কুড়ানোর ফলে তাদের হেনস্থা করা হয়েছে দিনের পর দিন, আদিবাসী নারীদের যৌন লাঞ্ছনা করা হয়েছে এমনি তাদের জেলেও পোড়া হয়েছে কাঠ পাচারের দায়ে।পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর বা ভয়াবহ ছিল তার উদাহারন দেবার জন্য একটি নামই আমাদের গা শিউরে ওঠার জন্য যথেস্ট – আমলাশোল। দূর্ভাগ্যের কথা মিডিয়ার মাধ্যামে আমলাশোল বা খয়রাশোলের কথা আমাদের কানে এলেও জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে আরো কতগুলো আমলাশোল আছে আমরা জানি না। আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো জঙ্গলমহলে এই বিপুল পরিমান মানুষের ভিতর যে ক্ষোভ আছে সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য বিহার,ওরিষ্যা থেকে মাওবাদীদের আনাগোনা শুরু হলে  শুরু হয় গ্রামে গ্রামে পুলিশের আনাগোনা এবং অত্যাচার, শুধু  তাই নয় জঙ্গলমহলে খুব অল্প পরিসরে যে কটি প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র বা চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে ঊঠেছিল মাওবাদী দমন করতে আসার নামে পুলিশি ঘাঁটিতে পরিনত হয়, কিন্তু এত কিছু সত্তেও একটা ব্যাপার উল্লেখযোগ্য ছিল যে জঙ্গলমহলের প্রতিটা প্রান্তে যে মাওবাদীদের প্রাধান্য ছিল না বললেই চলে হঠাৎ কি এমন ঘটল যে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ন প্রান্ত মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে তথা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিন্ত হল?

এবার আসি ২ রা নভেম্বর,২০০৮ এর ঘটনায়। শালবনীতে জিন্দাল স্টীল প্লান্টের দ্বারোদঘাটনে সেরে ফেয়ার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান এবং জিতিন প্রসাদের উপর হামলা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বেঁচে গেলেও জানা যায় আসল উদ্দেশ্য ছিল হত্যাবাবুকে হত্যার, কিন্তু ঘটনার পরের ঘটনাগুলি আর আশ্চর্য্যজনক, কনভয়ে হামাওলার জন্য একদিকে যেমন গ্রামে গ্রামে পুলিশি অত্যাচার বেড়ে যায় অপরদিকে সিপিএমের ক্যাডার বাহিনীও ছোট আকারে হামলা চালাতে  থাকে। পরিস্থিতি চরমে ওঠে যখন পুলিশ হামলার ঘটনায় জ্বরিত থাকার অভিযোগে ১৬-১৮ বছর বয়েসী তিন নাবালক স্কুল ছাত্রকে গ্রেফতার করে, যার প্রতিবাদে গনপ্রতিরোধ গড়ে ওঠে, বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা জঙ্গলমহল, অত্যাচারের ফলে খাদের কিনারে পৌছে যাওয়া, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আদিবাসীরা একটি জনসংগঠন হড়ে তোলেন নাম হয় পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারনের কমিটি বা পি.সি.পি.এ। তারা যে প্রাথমিক ১১ দফা দাবী পেশ করে সেগুলি হল

1) The SP has to hold his ears and ask for forgiveness. He has to say ‘Form now onwards I will stop illegally arresting the people and especially women.’
2) The police who were involved in the 5/11/2008 incident where women were beaten up have to rub their noses on the ground as punishment, from Dalailpur Chawk to Choto Pelia.
3) The women of Choto Pelia who were injured by the police torture have to be compensated with 2 lakh rupees each.
4) All suspects arrested or detained in relation to the Shalboni incident have to be released unconditionally.
5) All people arrested or accused in suspicion of being Maoist in West Midnapore since 1998 have to be cleared of all charges and should not be compelled to attend court sessions or police station enquiries regularly.
6) Arresting locals from anywhere, anytime without warrant have to be ended.
7) All paramilitary camps like those in Dharampur, Kalaimudi, Ramgarhhave to be removed immediately.
8) That Sasadhar Mahato planned the Shalboni explosion sitting in Bashber village - this allegation has to be withdrawn.
9) The practice of harassing clubs and organizations of independent people all over Bengal must be put to an end.
10) Police patrolling in villages from 5 in the evening to 6 in the dawn have to be stopped.
11) Schools, hospitals, panchayet offices cannot be used as police camps, the existing ones have to be removed.



অর্থাৎ ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে একটি দাবীও বেআইনি, অনায্য বা সংবিধানবিরোধী ছিল না, হ্যা বেশ কয়েকটি দাবী অবাস্তব ছিল বটে কিন্তু আলোচনায় মিটিয়ে নেবার পরিবর্তে জনগনের কমিটির সাথে বারেবারে মাওবাদীদের নাম মিশিয়ে (যদিও ঘটনার পরবর্তীকালে তাই হয়েছিল) তাদের উপর শুরু হয়ে যায় পুলিশ আর সিপিএমের ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচার। কিন্তু হলফ করে বলা যায় আন্দোলনের শুরুর দিকে মাওবাদীদের সাথে জনগনের কমিটির কোন যোগ ছিল না। অবশ্য এই লেখায় আমি পরবর্তীকালে জনগনের কমিটির দূর্নীতি, জোড়জুলুম, মাওবাদীদের দিকনির্দেশে আন্দোলন পদচালনা, কমিটি/মাওবাদীদের আর পুলিশের মাঝে অসহায় আদিবাসীদের করুন অবস্থা এই দিক গুলো আলোচনা করব না কারন প্রাসঙ্গিক হলেও এটা আলাদা প্রসঙ্গ। কিন্তু উল্লেখযোগ্য দিক এটাই যে এক সম্পূর্ন গনআন্দোলনকে মাওবাদীদের হাতে উপহার হিষাবে তুলে দেওয়ার পিছনে কিন্তু মুখে গনআন্দোলনের ধ্বজাধারী সিপিএমই। যখন দেখা গেল লালগরের গন-আন্দোলন সম্পূর্ন রূপে সিপিএম পরিচালিত বামফ্রন্ট সকারের বিরুদ্ধে তখন পুলিশ ছাড়াও সুশান্ত ঘোষ, দীপক সরকাদের ভৈরব বাহিনী লাফিয়ে পড়ল নিরীহ আদিবাসীদের উচিত শিক্ষা দিতে কিন্তু ভুলে গেল বিপক্ষে নিরীহ নিরস্ত্র টিএমসি কর্মী বা বিরোধীরা নন আছে অবস্থা/ক্ষোভের সম্পূর্ন সুযোগ নেওয়া তাদেরই জ্ঞাতভাই মাওবাদীরা। বুলেটের জবার এল বুলেটে, হুমকির জবার এল হত্যায়, এক ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী কে হাঠিয়ে এলাকার দখল নিল আরেক ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী। কিন্তু তফাৎটা হল কেবল এবং কেবল্মাত্র সিপিএমের কারনেই লালগড়ের সঙ্গে গতা জঙ্গলমহলে সাধারন মানুষের সমর্থন পেল মাওবাদীরা। আমি এই প্রসঙ্গে মাওবাদীদের সম্পুর্ন দোষী হিষাবে মানতে নারাজ, কারন প্রশ্ন হল আমি কাকে বেশী দোষী মানব যে আমাকে সমাজবিরোধী দলে জায়গা দিল, না যে আমাকে সমাজবিরোধী হতে বাধ্য করল?

নন্দীগ্রামের সুর্য্যদ্বয় কান্ড থেকে শিক্ষা নেওয়া সিপিএম যৌথবাহিনীর সাথে এলাকা দখলের যে নকশা প্রস্তুত করে তা সম্পূর্ন ব্যার্থ হয় পরবর্তীকালে। প্রশিক্ষিত পুলিশবাহিনী পেশাদারী দক্ষতায় এলাকার দখল নিতে পারলেও আইনের শষন পুনঃপ্রস্তিস্ঠা করতে অপারগ হয়। উওটে এই সময়ে প্রতিশোধ স্পৃহায় বেশ কিছু নিরীহ নির্ভীক হতদরিদ্র সিপিএম কর্মী যেমন মারা যান তেমন বিছিন্নতাবাদী মাওবাদীদের হামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেশ কিছু ঢাল-তরোয়ালহীন নিধিরাম সর্দারদের অকাল মৃত্যু ঘটে। প্রসঙ্গত বলা ভাল এই সময় অত্থাৎ যৌথবাহিনী লালগড় দখল করার পরে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য সরকার বেশ কিছু পরিকল্পনা নেন যার মধ্যে অন্যতম ৭ জন সচিব পদের আমলাকে নিয়ে একটি বিশেষ টিম তৈরী হয় যারা কয়েকবার জনগনের পয়সা নস্ট করে বার কয়েক হেলিকপ্টারে লালগড়ে ভ্রমন যাওয়া ছাড়া কাজের কাজ কিছুই করেন নি।

আপনারা ভাবছেন তাহলে লালগড়ের সুর্য্যদ্বয়টা কখন হল, আসলে এই সুর্য্যদ্বয়ের অত্যন্ত ধীর শম্বুকগতি সম্পন্ন এক ঠান্ডা মাথার এক খুনে এলাকা দখলের পরিকল্পনা। সিপিএম জানত বিপক্ষে আছে মাওবাদীরা, তারা যথেস্ট প্রশিক্ষিত এবং সশস্ত্র, এলাকার ব্যাপ্তি বিশাল তাই কেশপুরের মতো লাঠি হাতে বা নন্দীগ্রামের মত গ্রামের মা বোনেদের বঁটি-কাটারী হাতে প্রতিরোধের সম্মুক্ষীন কখনই হতে হবে না তাই অল্প হার্মাদে কাজ হবে না, চাই যথেস্ঠ লোকবল, এবং সময় এবং সর্বোপরি চাই অর্থ। যেহেতু ২০০৯ সালের লোকসভা, এবং তার পরবর্তী বিধানসভা উপনির্বাচনে এমনকি ২০১০ সালের পুরনির্বাচনে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল ঘতে গেছে তাই সরকারী স্তরে ব্যাপক কুরচুরি করা প্রায় অসম্ভব তাই এই কাজে প্রথম টাকা তোমার শুরু হয় বিদেশে বসবাসকারী বামমনোভাবাপন্ন ভারতীয়দের থেকে আর ভিন রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে কর্মরত হাজার হাজার বামমনোভাবাপন্ন তরুনদেরর থেকে, সিটুর শ্রমিকদের ফান্ড কারচুপি করে যার সমস্তটাই ব্যয় হয় অশ্ত্র কিনতে। পরবর্তীকালে টাকার যগান আসে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অতিরিক্ত বরাদ্দ বাজেট থেকে,সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলির NRGEA ফান্ড কারচুপি করে। এছাড়াও সাহায্য আসে সিপিএমের পালিত বিভিন্ন জোতদারদের থেকে। ভৈরববাহিনীর হার্মাদদের জন্য খাদ্য আসে ওই একইভাবে অর্নপূর্না এবং অন্ত্যদয় প্রকল্পের মাধ্যমে, এই কাজে সক্রিয় ভূমিকা নেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন এবং বিনয় কোঙ্গার এবং অনিল বসু। অবশ্যই সুশান্ত ঘোষ আর দীপক সরকারের নাম নতূন করে লিখলাম না। প্রথম পর্বে ১০০ জন হার্মাদ এনায়েতপুরের পার্টি অফিসকে বেস করে একের পর এক গ্রামে আঘাত হানতে থাকে, কমিটির সমর্থকদের খুন করতে থাকে কখনো আবার সহানূভূতি জাগানোর নামে নিজেরদের সমর্থকদেরই হত্যা করে ফেলে দেওয়া হয় মাঝ রাস্তায়। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে এনায়েতপুরে মাওবাদীদের হামলার পর দূর্গসম পার্টি অফিসের ছবিটি, যেখানে মাওবাদী এবং সিপিএমের সংঘর্ষের কথা প্রকারন্তরে পুলিশও স্বীকার করে নিয়েছিল। এনায়েতপুরে বেস করে যে খুন-ধর্ষন-দখলদারির যাত্রাপথের সূচনাটা যে পথে হয়। তা হল

১. এনায়েতপুর-চাঁদড়া-ধেরুয়া-ধরমপুর  
২. এনায়েতপুর-পিরাকাটা-ভীমপুর
৩. গোয়ালতোর-কাদাশোল-রামগড়-নেপুরা
৪. ধেরুয়া-বৈতা
৫. ঝাড়গ্রাম-জামবনি-চন্দ্রি
৬. ঝাড়গ্রাম-বিনপুর-শিলদা-বাঁশপাহাড়ি

বর্তমানে জঙ্গলমহলের ৯৩ টি ক্যাম্পে প্রায় ২০০০ হার্মাদ রয়েছে, যারা এলাকা দখলের সাথে সাথে খুন, যখম, লুটতরাজ, ধর্ষন ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে। আসুন এবার খরচ পাতির একটা একটা ছোট হিষাব কষা যাক। সরকার নির্দিস্ট দৈনিক ১২০ টাকা মজুরী বা ভাতা তার সাথে খাওয়াখরচ নিয়ে ১৫০ টাকা (বিনোদনমূলক খরচটা বাদ দিলাম) হার্মাদ পিছু দৈনিক খরচ ধরলে মোটামুটি ১ কোটি টাকা প্রতি মাসে (২০০০ জন হার্মাদ যেহেতু পার্টির অভিযানে নিয়োজিত) এবং একবছরে মোট খরচ ১২ কোটি টাকা। অনেকে আবার বলছেন ১৪ কোটি টাকা, তা সে ১২ কোটি হোক আর ১৪ কোটিই হোক এই বিপুল পরিমান খরচ কে করে?এখন আগেই লিখেছি এই টাকা কিভাবে আসে কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই এই টাকা আপনাদের আমাদের কস্টার্জিত টাকাই, আমরা না জেনেই এক প্রাইভেট আর্মির পিছনে খরচা করছি। আর কারচুপি করার পরেও যে টাকাটা ঘাটতি থেকে যায় সেটা পুষিয়ে নেয় সিপিএম পার্টি নিজে কারন সরকারী হিষাব অন্যযায়ী সর্বহারাদের পার্টি ভারতের চতুর্থ ধনী এবং সম্পদশালী পার্টি। এর পর আর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না তাদের কালো টাকার পরিমানটা কত।

সাবেক কমিউনিস্ট দেশগুলিতে বা এখনো অনেক কমিউনিস্ট দেশে যেমন মিডিয়ার কন্ঠরোধ করে রাখা হয় তেমনি নন্দীগ্রামের সময়ে যা দেখেছি তাই আবার ফিরে আসে যখন নিজেদের অস্তিত্ব ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে জঙ্গলমহলে সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরাস্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম ও জানিয়েছেন জঙ্গলমহলে সিপিএমের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর ক্যাম্প আছে।


সিপিএমের ভৈরববাহিনীর এই তান্ডব দেখে একটা কথাই খালি মনে পরে তাহলে সালওয়া জুডুমের কি দোষ ছিল? আজ সিপিএম যখন সালোয়া জুডুমের পথেই হাটছে তাহলে কেন দ্বিচারিতা করে সর্বত্র কুম্ভীরাশ্রু বর্ষন করত। অবশ্য দ্বিচারিতা বোধহয় ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দলগুলির রক্তে প্রবাহমান। তাহলে আমরা প্রশ্ন করব জঙ্গলমহলে সিপিএমের যে ১০০ এরো বেশী কর্মী খুন হয়েছেন সেটা কি ঠিক। না একেবারেই নয়। যে কোন হত্যাই নিন্দনীয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে সুপ্রীম কোর্ট সালওয়া জুডুমকে নিষিদ্ধ ঘোষনার সময়  সরকারের সমলোচনা করে বলেছিলেন - It is a question of law and order. You cannot give arms to somebody (a civilian) and allow him to kill. You will be an abettor of the offence under Section 302 of the Indian Penal Code. তাহলে যারা ভৈরববাহিনীর পক্ষে সওয়াল করছেন তারা কেন সালোয়া জুডুম, রণবীর সেনাদের পক্ষেও সওয়াল করছেন না? তাহলে ভৈরববাহিনীর মতো একটি প্রাইভেট আর্মি নিয়োগকারী একটি সংসদীয় দল এবং সেই দল পরিচালিত সরকার দোষী নয় কেন? মাওবাদীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসবাদী মেনে নিলাম কিন্তু তার জন্য আইন আছে, আদালত আছে, পুলিশ আছে, প্রাইভেট আর্মির প্রয়োজন কি? কারন সালওয়া জুডুম আর সিপিএমের মধ্যে কোন তফাৎই তো নেই।
  
‘সশস্ত্র অভিযান চলছে, আর কদিনের মধ্যেই লালগড়ের দখল করে নেব। ৯৩ টি সিপিএমের ক্যাম্প আছে তাতে ভয় কেন’- না কথাগুলো কোন ডাকাত ভা মাফিয়ার নয় এই রাজ্যের এক মন্ত্রীরই। তাহলে দেখুন গনতন্ত্রের কন্ঠরোধ করে যারা হায়নার হাসি হাসেন, যারা প্রকাশ্যে সশস্ত্র আন্দোলোনের কথা বলেন, হুমকি দেন, প্রতিমুহুর্তে গনতন্ত্রকে ধর্ষন করেন তারা নাকি সবচেয়ে বেশী গনতন্ত্রপ্রিয়। আসলে সংসদীয় গনতন্ত্রে ক্ষমতালাভ করে ক্ষমতার মধুভান্ড চেটেপুটে খেতে যারা সিদ্ধহস্ত তারা কতবড় গনতন্ত্রপ্রেমী সেটা পাঠকরাই তাদের বিবেক দিয়ে বিচার করবেন।

কিন্তু মাথায় রাখতে হবে সারা বাংলার মাটিতে মানুষের মনে যে পরিবর্তনের জোয়ার দেখা গয়েছে জঙ্গলমহলে যে কোন ভাবে একতরফা ক্ষমতা দখল করতে পারলেই মমতা ব্যানার্জীকে আটকানো সম্ভব। তাই সিপিএম ঠিক কিসের জন্য লড়ছে? যেনতেন প্রকারেন মমতাকে আসতে দেব না সে রকম লড়াই, তার জন্য যা দরকার করতে পারে সিপিএম।কিন্তু সিপিএম জানে মানুষ তার চরম জবাব দেবে ২০১১ তে। গনতন্ত্রের হত্যাকারীদের সন্ত্রাসের প্রতিরোধ করে জবাব দেবেন মানুষ বুলেটে নয় ব্যালটে। তাই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতার মসনদে আসীয়ান, ক্ষমতালোভী, মানবহত্যাকারী, গনতন্ত্রহত্যাকারী মেকী গরিবদরদী বামসরকারের যে সমূলে পতন ঘটবে সেঈ দেওয়াল লিখনটা স্পস্ট পড়া যাচ্ছে। আর সেটাই হবে বাংলার মাটিতে প্রকৃত চেতনার সুর্য্যদ্বয়।

List of Armed Camps of CPIM Cadres in Jungal-Mahal,Block wise Data.

9 comments:

  1. হার্মাদদের ছবি কোথায়?

    ReplyDelete
  2. বেশ কিছু দৃস্টিকটূ বানান ভুলের জন্য আমরা আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থী। খুব তাড়াতাড়ি ভুল গুলো শুধরে নেওয়া হবে। সেইটুকু সময়ের জন্য আপনাদের সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য।

    ReplyDelete
  3. http://www.aajkaal.net/report.php?hidd_report_id=133184

    ReplyDelete
  4. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  5. প্রথমত বলে রাখি লেখকের তথ্য গুলি প্রচন্ড ভুলে ভরে। তৌফিক নামে নামে কোন নেতা কেশপুরে ছিলনা। মহঃ রফিক নামে একজন সমাজবিরোধী ছিল, পরে যিনি মমতাকেই মিথ্যেবাদী বলে দল ছেড়ে কংগ্রেসে ভিড়েছেন।পিংলায় যিনি টিএমসির লিডার ছিলেন তার নাম রবি নায়েক, মমতা যাকে নাকি ফার্ষ্টবয় আখ্যা দিয়েছিলেন।
    বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাকে বলে আমার জানা নেই। ১৪ খানা গ্রাম পঞ্ছায়েতের মধ্যে কেশপুরে ২ খানা ও পিংলায় ২ খানা জিতে যাওয়া যদি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয় তাহলে সেতা আলাদা প্রশ্ন।
    এই সেই কেশপুর যেখানে পাশকুড়া লোকসভার উপনির্বাচনে সিপিআই প্রা্থী গুরুদাশ দাসগুপ্ত কোথাও শুন্য, কোথাও মাত্র ১টি কিংবা ২টি ভোট পেয়েছিলেন, এবং আরো আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যায় কোন কোন বুথে মৃত ব্যাক্তিও তৃনমুলের পক্ষে ভোট দিয়ে যান। মানুষ সিপিএমের বিরুদ্ধে এতোটাই অসন্তুষ্ট ছিল যে মরার পরেও ভোট দেওয়ার কথা ভুলতে পারেনি।

    lekhoker lekhar sokh thaka valo kintu vulval tothyo diye likhle lekhoker lekhok sotyar upor onek guli proshno uthe ase.

    ReplyDelete
  6. **ভুলে ভরা

    ReplyDelete
  7. @Sayan Ghosh tomader mane Anti CPI(M) thuri BUDDHIJIBI der kach theke erm lekhai ashanorup! ki lobhe ba mohe tomra ondho janina kintu tomader kache sobinoy onurodh manush ke vul bujhiye vul dike chalonar hardik proyas r korona, erpr manush tomader r khoma korte parbena...tokhon tomader r lukonor jayga thakbena..kothay ache- You can run but you can't hide...mitther sath deowa r mitthe prochar bondho koro!

    ReplyDelete
  8. rafik o fik kore hasbe eta porle!
    kothay congress charar age mamata lorlen mannan adhir eder birudhe, golay shal joriye natok korlen, segulo chepe gelen keno lekhak?

    ekta proshno roilo, dekhi lekhak koto boro trina ponthi.
    mamata je loksabha nirbachane dnarachen na, ei khabor ta sarboprathom kon kagoj chepechilo ebong kon sangbadik ke uni eta prathom bolechilen (tini e kagoje porer din prakash koren khabor ta!)

    khabor ta prachar hotey sangbadik ta mamata ke dhawa korte kalighat e upasthit, mamata dudin tar ekjon khub nikot anugamir barite atmogopon kore lukiye chilen, kar barite bolte paren sayon babu?

    uttar pratyashi.

    ReplyDelete
  9. সায়ন বাবু, আপনি দেখলাম 'হার্মাদ বাহিনীর' খরচ আসছে আপনাদের টাকা থেকে এইরুপ অভিযোগ করেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। একটা কথা বলি, একটু naive হওয়া ভালো, কিন্তু একেবারে বলদা থাকা ভালো না। 'হার্মাদ বাহিনী' যদি থেকেও থাকে, তার খরচা চালায় পার্টি, সরকার না, আর পার্টির এই টাকাগুলো আসে অগুনতি পার্টি সদস্য যে মাসে মাসে লেভি দেন, এছাড়াও এককালীন চাঁদা বা একদিনের আয় তহবিলে দেন, তার থেকে।

    ReplyDelete